মোঃ আবু হানিফ সরকার, নান্দাইল থেকে: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১৩নং চরবেতাগৈর ইউনিয়নে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার অতি দরিদ্রদের জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল থেকে ৭০০ শত উপকারভোগী বঞ্চিত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উদ্দিন ও ইউপি সচিব মাহবুব আলমের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দে এই চাল বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। চরবেতাগৈর ইউনিয়নের জন্য ৪ হাজার ৩৮৭টি কার্ডের বিপরীতে ৪৩.৮৭০ মে.টন চাল বরাদ্দ ছিল। যথানিয়মে চাল বিতরণ শুরু করার দুই দিন পর ২৮শে জুলাই সকালে ইউপি সচিব বেতাগৈর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক আবুল হাশেম ও ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ শুরু করেন। ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন চাল বিতরণের সময় তাকে জানানো হয়নি।
তিনি ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে ১৩১ বস্তা ভিজিএফ চাল বিক্রী করে দেবার অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এরশাদ উদ্দিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ইউপি কার্যালয়ের গুদাম ১০২ বস্তা চাল সহ সিলগালা করে রাখেন এবং বিষয়টি ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। ইউপি সচিব মো. মাহবুব আলম জানান, তিনি নিয়ম মেনে চাল বিতরণের সময় ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে চাল বিতরণ চলাকালীন সময় ইউপি চেয়ারম্যান অহেতুক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন।ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের দ্বন্দে ঈদের সময় ৭০০জন উপকারভোগী চাল গ্রহন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ৯ই আগস্ট এই প্রতিনিধি সহ কয়েকজন স্থানীয় মিডিয়াকর্মী ইউপি কার্যালয়ে গমন করে পরিষদ কার্যালয়ের দুটি কক্ষ ছাড়া বাকীগুলো সিলগালা অবস্থায় দেখতে পায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এরশাদ উদ্দিনের নিকট সেলফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে ময়মনিসংহ জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবেই কাজ করা হবে।’ অপরদিকে ইউপি সচিব ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার অভাবে ইউপি কার্যালয়ে উপস্থিতি থেকে বিরত রয়েছেন বলে জানাগেছে।